খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়াতে ১২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে মাত্র কয়েকটি পরিবার।
অন্যদিকে বান্দরবানে টানা বৃষ্টির কারণে তিনটি স্থানে বড় ভাঙনের ফলে বাইপাস সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, খাগড়াছড়িতে ১২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে সেখানে সোমবার পর্যন্ত জন ১৫৫ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ির পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপালন করা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, বন্যা ও পাহাড় ধস মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। কিছু স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলে তা অপসারণ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত শুক্রবার জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড ও সরেজমিন পরিদর্শন কার্যক্রম জোরদার করে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস এ বিষয়ে মাইকিং করাসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে।
এদিকে সংবাদ সংস্থা বাসস জানায়, বান্দরবান জেলায় টানা বৃষ্টির কারণে তিনটি স্থানে বড় ভাঙনের কারণে বান্দরবান সদর-সুয়ালক-লামা বাইপাস সড়কে যান চলাচল শুক্রবার বন্ধ হয়ে গেছে। জেলার সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকায় সড়কের তিনটি স্থানে বড় ভাঙনের কারণে সড়কটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে লামা-সুয়ালক সড়কটির কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন হয়। সড়কটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কিন্তু পাকাকরণের তিন বছর না যেতেই সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলায় এলজিইডি-এর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী পারভেজ সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘সুয়ালক-লামা সড়কের টংকাবতী ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার সড়কের তিনটি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করা হবে। বরাদ্দ পেলে সড়কের দুইপাশে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ করা হলে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।’