আবহাওয়া ভাল থাকায় মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে পানের ভাল ফলন হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় পানের অধিক উৎপাদন হওয়ায় চাষিরা খুশি হলেও ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
জানা যায়, এর মধ্যেই বিভিন্ন হাটে-বাজারে পান চাষিদের পান বিক্রির ধুম পড়েছে। জেলার সদর উপজেলাসহ কালকিনি, রাজৈর, ডাসার ও শিবচরে সারা বছর ধরে পানের ফলন হলেও বর্ষা মৌসুমে পানের বেশি ফলন হয়।
মাদারীপুর ভুরঘাটা বাজারের পান চাষি মিন্টু বেপারী জানান, অল্প পুঁজি, নিয়মিত শ্রম ও পরিচর্যার ফলে পান চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় চাষিরা সারা বছর তা চাষ করেন। তবে বর্ষা মৌসুম পান চাষের উপযুক্ত সময়।
ডাসারের পাথুরিয়ার পাড়ের কৃষক রবিউল শরীফ বলেন, ‘আমাদের নিজেদের কোন জমি নাই। পান চাষ করে অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভ পাওয়া যায় বলে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করি।’

পানের বেপারী শামসু মৃধা বলেন, ‘আগে পানের চাহিদা থাকলেও এখন পানের বাজার একটু কম। তবে পান চাষে ব্যবহৃত বাজালি, ছন, বাঁশ, পাটকাঠি, খড়সহ বিভিন্ন উপকরণ চড়া দামে কেনার পর পানের ফলন আশানুরুপ হলেও দাম নিয়ে শংকা থেকেই যাচ্ছে।’
চাষিরা আরও জানান, মাদারীপুরে উৎপাদিত পান নিয়মিত টেকেরহাট, উৎরাইল হাট, ভুরঘাটা হাটে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়। এ অঞ্চলের পান সুস্বাদু হওয়ায় ঢাকা, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানিও করা হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পানের বেশ চাহিদা রয়েছে এবং দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। বড় সাইজের প্রতি বিরা ৮০০, মাঝারি সাইজের প্রতি বিরা ৬০০, ছোট সাইজের প্রতি বিরা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সন্তোষ চন্দ্র চন্দ জানান, এ জেলার ৫টি উপজেলায় চলতি বছর ৩৫৮ দশমিক ১২ হেক্টর জমিতে পান চাষ করে ৫ হাজার ২৭৫ মেট্রিক টন পান উৎপাদন হয়েছে। ভাল ফলনের জন্য পান চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।