পাকিস্তানে ভারতের সামরিক হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়েছেন। ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এটা হতাশার। ওভাল অফিসের দরজা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আমরা এ খবর শুনেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, অতীতের ইতিহাসের ভিত্তিতে মানুষ বুঝতে পেরেছিল যে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। তারা (ভারত-পাকিস্তান) দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে।’
খুব শিগগির চলমান সংকটের অবসান ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

পাকিস্তানের কাশ্মিরে ভারতের সামরিক অভিযানে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভারতের সামরিক অভিযান নিয়ে মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
দুজারিক আরও বলেন, ‘তিনি উভয় দেশের কাছে সর্বোচ্চ সামরিক সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে—এমন পরিস্থিতি এড়ানো জরুরি।’
জাতিসংঘে অভিযোগ, প্রতিশোধের বার্তা ইসলামাবাদের
ভারতের বিরুদ্ধে ‘খোলামেলা আগ্রাসনের’ অভিযোগ তুলে পাকিস্তান সরকার বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারতের এই হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করেছে। জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের আলোকে পাকিস্তান এর ‘যথাযথ জবাব’ দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পাকিস্তান সময় মতো এবং সুবিধাজনক স্থানে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাবে।’
এর আগে ভারত বুধবার রাতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে ৮ জন নিহত ও ২৫ আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তান। তাদের দাবি, দেশটির পাল্টা প্রতিরোধ হামলায় ভূপতিত হয়েছে ৫টি ভারতীয় বিমান। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বুধবার সকালে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বৈঠকে সামরিক ও রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।