নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত সেনাবাহিনী

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। ছ্বি: ইউএনবি
Highlights
  • ‘পুশইনের বিষয়ে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সতর্ক এবং সজাগ আছে। ‌সীমান্ত এলাকায় তারা টহল বৃদ্ধি করেছে। সেসব জায়গায় স্থায়ী এবং অস্থায়ী ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ওইসব এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এখনো সরকারের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল কোনো নির্দেশনা পায়নি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী৷ তবে সরকার নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত তারা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখনো সরকারের পক্ষ থেকে অফিশিয়াল কোনো নির্দেশনা প্রাপ্ত হইনি। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করব।’

‘মব ভায়োলেন্স’ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মব ভায়োলেন্স কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী যেকোনো পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে্। আমরা মব ভায়োলেন্স অনেকাংশে কমিয়ে নিয়ে এসেছি। রংপুরের ঘটনাটিতে যে মব ভায়োলেন্স ঘটেছিল সেখানে সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে উপস্থিত হওয়ার কারণে সেই পরিস্থিতিটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল।’

ঈদুল আজহার সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ বাস ও রেল স্টেশনে এবং লঞ্চ টার্মিনালে দিন-রাত সার্বক্ষণিক টহল দিয়েছেন। এছাড়া স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।

বিগত ঈদের তুলনায় এই বছরের ঈদে মৃতের সংখ্যা এবং গুরুতর আহতের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়ে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জাতীয় পতাকা বিক্রির সময় এক ব্যক্তিকে পেটানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা জানেন এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল ম্যাচ ছিল। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যতটুকু করার প্রয়োজন ছিল তা করা হয়েছে। এটি একটি দুঃখজনক ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল।

তিনি বলেন, ‘পুশইনের বিষয়ে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সতর্ক এবং সজাগ আছে। ‌সীমান্ত এলাকায় তারা টহল বৃদ্ধি করেছে। সেসব জায়গায় স্থায়ী এবং অস্থায়ী ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ওইসব এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী বা যেকোনো সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের সময় যে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এক্ষেত্রে আমরা গোপনীয়তা রক্ষা করি। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে আমাদের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, গত তিন সপ্তাহে ৫৬টি অবৈধ অস্ত্র ও ৯৯০ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।

মাদকের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান আছে জানিয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, তিন সপ্তাহে ৪৫২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫ হাজার ৪৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *