প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশ যুদ্ধাবস্থার ভেতরে আছে। তবে যতদিন আছি দেশের কোনও অনিষ্ট কাজ আমাকে দিয়ে হবে না, নিশ্চিত থাকেন।
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিভিন্ন বক্তব্য উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের জানান।

শফিকুলের বক্তব্য অনুসারে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বড় যুদ্ধাবস্থার ভেতরে আছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পরে অস্থিতিশীলতা তৈরির যত রকম চেষ্টা পারা যায়, করা হচ্ছে। এটা থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।’
‘বিভাজন থেকে আমাদের উদ্ধার পেতে হবে, ঐক্যমত থাকতে হবে। আত্মমর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে আমরা যতটুকু দাঁড়াতে পেরেছি, এটা যেন সামনের দিকে যায়। সবাই একসঙ্গে বসাতে আমি মনে সাহস পেলাম। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে, আমি নিজেকে অপরাধী অনুভব করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমি দেশের সেবায় মহাসুযোগ পেয়েছি আন্দোলনের মাধ্যমে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশকে টেনে আনা, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশের ভিতরে ও বাইরে।’
‘আমরা যাতে এগোতে না পারি, যাতে সবকিছু ভেঙে পড়ে, আবার যাতে গোলামীতে ফেরত যাই, তারা সেটাই চাইছে। আমি যতদিন আছি দেশের কোনও অনিষ্ট কাজ আমাকে দিয়ে হবে না, নিশ্চিত থাকেন।’
প্রেস সচিব শফিকুল বলেন, ‘পার্টির শীর্ষ নেতারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আমরা যে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছি, বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করছি এবং নির্বাচন আয়োজনের যে প্রস্তুতি নিচ্ছি- এসব উদ্যোগে দলীয় নেতারা সম্পূর্ণভাবে একমত এবং সমর্থন জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার পাশে থাকবেন।’
‘আরও অনেকগুলো বিষয়ে কথা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে, সংস্কারের বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা আবারও জানিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করবেন। ৩০ জুনের ওই পারে যাবে না। এতে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’