দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হলো সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
Highlights
  • ‘পাঁচটি বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক খুব শিগগিরই একীভূত হওয়ার কথা রয়েছে, যদিও জাতীয় নির্বাচন আসন্ন।'

কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রা ছাপিয়ে আর্থিকভাবে দুর্বল ১২টি ব্যাংকে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার সহায়তা সরবরাহ করেছে।

শনিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা ব্যাংকিং খাতকে স্থিতিশীল করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা, একীভূত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। খবর ইউএনবির।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, এবি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (বিসিবিএল), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), বেসিক ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। উল্লেখযোগ্যভাবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি সহায়তা পেয়েছে, যার পরিমাণ ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

গ্রাহকদের আমানত পরিশোধের সুবিধার্থে ১০টি ব্যাংককে ‘ডিমান্ড লোন’ হিসেবে ৩৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ৯টি ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতির অতিরিক্ত ১৯ হাজার কোটি টাকা চাহিদা ঋণে রূপান্তরিত করা হয়েছে, যা কার্যকরভাবে তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক গতিশীলতা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘পাঁচটি বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক খুব শিগগিরই একীভূত হওয়ার কথা রয়েছে, যদিও জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং আমরা আশা করি পরবর্তী সরকার এটি অব্যাহত রাখবে।’

এই ব্যাংকগুলোতে ইতোমধ্যেই তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম এবং ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত ৬টি প্রতিষ্ঠান জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত হওয়ার কথা রয়েছে, যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলো সাময়িকভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এরপর পুনর্গঠনের পর তাদের শেয়ার সরকারি এবং আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে স্থানান্তর করা হবে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *