ডাকসু নির্বাচন: ভোটারদের পছন্দের তালিকায় নাম লেখানোর শেষ প্রচেষ্টা

2 Min Read
ডাকসুতে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। ছবি: শামীম উস সালেহীন
Highlights
  • ‘কোনো প্রার্থী নিজেদের পিছিয়ে রাখতে চাচ্ছে না তাই নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর, এই শেষের কয়েকদিন হবে ডাকসুর “গেইম চেঞ্জিং ফ্যাক্টর”।’

জমে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রচার। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোটের আগে শেষ সময়ের প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। তাদের অনেকেই মনে করছেন, শেষ সময়গুলোতে যারা কার্যকরভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারবে, তারাই ভোটারদের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে থাকবেন।

ডাকসু নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীরা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন।

কাজেই গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ ঘিরে জোর প্রচার চালান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ‘আবিদ-হামিম-মায়েদ পর্ষদ’, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’সহ একাধিক স্বতন্ত্র ও প্যানেল সমর্থিত প্রার্থীরা। জুম্মার নামাজ শেষে হলে হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও নির্বাচনী ইশতেহার স্পষ্ট করেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ডাকসু নির্বাচনের জোর প্রচার। ছবি: টাইমস

কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী সামশুদ্দৌজা নবাব দ্য টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততাও তত বাড়ছে। তাই শেষ মুহূর্তে যারা বেশি বেশি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পারবে, তারাই এগিয়ে থাকবে।’

‘শেষ সময়টা আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে। কারণ সরাসরি আলাপেই শিক্ষার্থীরা বেশি সাড়া দেয়’, বলেন তিনি।

শুধু প্রার্থীরাই নন, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ডাকসু নির্বাচনের আগে শেষ সময়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুবাশ্বির মাহমুদ নিবির টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘শেষ কয়েক দিনে প্রচারণার তীব্রতা সত্যিই চোখে পড়ছে। আমরা চাই প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুক, তাদের ভাবনা শুনতে চাই।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সৌভিক রোহিত বলেন, ‘শেষ সময়ে ডাকসু নির্বাচনের আমেজ বেড়েই চলেছে। কোনো প্রার্থী নিজেদের পিছিয়ে রাখতে চাচ্ছে না তাই নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর, এই শেষের কয়েকদিন হবে ডাকসুর “গেইম চেঞ্জিং ফ্যাক্টর”।’

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী আনিদ হাসানের ভাষায়, ‘শেষ দুই দিনে আমি শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। অফলাইন প্রচারণার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্ট তৈরি করছি। ফেসবুকে বিশেষ বুস্টিং করে ভোটারদের কাছে যত বেশি সম্ভব পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *