ঝিনাইদহে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে গুরুতর আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের নাম সুজন (৩৫)। শুক্রবার ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের সিঁড়িতে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালে শুক্রবার দুপুরে তিনি মারা যান। তবে গণপিটুনির বিষয়ে তার কোনো তথ্য জানা নেই বলে জানান তিনি।
সুজন শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ পৌরসভার পাওয়ার হাউজ পাড়ায় স্ত্রীসহ বসবাস করছিলেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফারহানা শারমিন বলেন, ‘শারীরিক ক্ষতির কারণে অজ্ঞাত অবস্থায় তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালের ৭ম তলায় রোগীর স্বজনদের মোবাইল চুরির অভিযোগে তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সকালে তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সেদিনই তাকে তার স্ত্রীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে মারধরের ঘটনায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।’
পুলিশ জানায়, আইনি প্রক্রিয়া বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নিহতের কোনো স্বজন আসেনি। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।