জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে ২১টি আবাসিক হলের হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এ তফসিল ঘোষণা করেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও প্রক্টর একেএম রাশিদুল আলম।
তিনি জানান, জাকসু নির্বাচন সামনে রেখে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে ১৭ আগস্ট।
তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ও ১৯ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। এই দুই দিন একই সময় মনোনয়নপত্র জমাদান (প্রার্থী কর্তৃক) করা যাবে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট। মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে ২৬ আগস্ট। ২৭ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত শুনানি শেষে বিকেল ৪টায় আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৮ আগস্ট বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৯ আগস্ট বিকেল ৪টায়।
রাশিদুল আলম আরও জানান, ২৯ আগস্ট বিকেল ৪টা থেকে ৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর ফলাফলের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
তফসিল ঘোষণা শেষে রাশিদুল আলম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ক্যাম্পাসে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সহায়তা করবেন। এ ছাড়া আবাসিক হল থেকে যেসব মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাদের হল ত্যাগ করতে হবে।’
পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর নবম ডিভিশনের সহায়তা নেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি। ১৯৯২ সালে সর্বশেষ জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে সিন্ডিকেটে একটি হট্টগোলের কারণে তখন থেকে জাকসুর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট আটবার জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।