ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ’-এর সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারেন তামিম ইকবাল, এই গুঞ্জনটা গত কয়েক মাসের। তবে তামিম ইকবালের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় কোয়াবের নির্বাচনে লড়ছেন না বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। যদিও ক্রিকেটারদের নিয়ে কোয়াবের শেষ কয়েকটি সভাতে তামিমের অগ্রগামী ভূমিকাই আরো আলোচ্য করে তুলেছিল তাকে কোয়াব নির্বাচনে।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে কোয়াব নির্বাচন। বিকাল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ১৫ বছর পর অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে তামিম অংশ না নিলেও কোয়াবের বর্তমান কমিটির আহবায়ক সেলিম শাহেদ ও মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সভাপতি পদে দাঁড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে।
যদিও সাবেক ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এখনো নমিনেশন ফর্ম নেননি। এছাড়া সহ-সভাপতি পদে ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুনের নাম জানা গেছে।মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো ক্রিকেটারদেরও নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা আলোচনায় এসেছিল, কিন্তু তার দুজনই সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় ১৫ বছর ছিলেন কোয়াব সভাপতির দায়িত্বে, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন দেবব্রত পাল দেবু। তাদের দায়িত্বকালে বেশ কয়েক দফায় নির্বাচনের উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পদত্যাগ করেন এই দুজন। যদিও পরবর্তীতে চলতি বছরে মার্চে ঘোষিত ১৩ সদস্যের এড-হক কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান দেবব্রত।
কোয়াবের অ্যাড-হক কমিটির দায়িত্ব ছিল গঠনতন্ত্র সংশোধন ও নির্বাচন। ২০২৫ সালের ৪ আগস্ট কোয়াবের বৈঠকের পর জানা গেছে, বিলুপ্ত হচ্ছে সাধারণ সম্পাদক পদ। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে গঠিত হতে যাওয়া কমিটিতে থাকবে এক জন করে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি ও আট জন কার্যনির্বাহী সদস্য।
ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিও সেরে রাখছে কোয়াব। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু। সদস্য হিসেবে আছেন নাসির আহমেদ নাসু ও হাবিবুল বাশার সুমন।
কোয়াবের সদস্য পদ প্রাপ্তিতেও কিছু পরিবর্তন এনেছে অ্যাড-হক কমিটি। তিন ক্যাটাগরিতে সদস্য হতে পারবেন ক্রিকেটাররা। আজীবন সদস্য পদ, স্থায়ী সদস্য পদ ও সহযোগী সদস্য পদ। আজীবন সদস্য হতে চাইলে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারদের দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত খেলোয়াড়দের জন্য ধার্য করা হয়েছে ১ লাখ টাকা, যেখানে তাদের কোনো বার্ষিক ফি দিতে হবে না। থাকবে পূর্ণ ভোটাধিকার। স্থায়ী সদস্য হিসেবে জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ ও ঢাকা লিগে খেলা যেকোনো ক্রিকেটার ৫ হাজার টাকা দিয়ে সদস্য হতে পারবেন। এদের জন্য বার্ষিক ফিও নির্ধারিত রয়েছে। অন্যদিকে সহযোগী সদস্যপদের জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার টাকা এবং বার্ষিক ফি ১ হাজার ২০০ টাকা। তবে এই ক্যাটাগরির সদস্যদের ভোটাধিকার থাকবে না।