অধিনায়ক হিসেব দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলটা বেশ যত্ন নিয়েই গোছাচ্ছেন লিটন দাস। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ব্যর্থতা মোড়ানো, পাকিস্তানে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ। এরপর শ্রীলংকায় ঐতিহাসিক সিরিজ জয়, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে বদলা। সব মিলিয়ে লিটনের খাতায় লেটার মার্ক দেবেন কিনা, সেটা আপনার বিষয়। তবে দলকে এক সুতোয় গাঁথার কাজটা ভালোভাবেই করছেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
লিটনের সামনে অপেক্ষা করছে এশিয়া কাপের চ্যালেঞ্জ। যদিও এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিলেটে তিন ম্যাচের একটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আসন্ন এই সিরিজের দল এখনো ঘোষণা হয়নি, এদিকে এশিয়া কাপের দলও ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা ২২ আগস্টের মধ্যে। মিরাজ ছুটি নিয়েছেন, তাই তিনি ছাড়া এশিয়া কাপের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদেরই রাখা হবে এই সিরিজের দলে। কেমন হতে পারে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ স্কোয়াড?
ওপেনার হিসেবে পারভেজ ইমন আর তানজিদ তামিম নিশ্চিত থাকছেন। কিন্তু আলোচনা হচ্ছে, ব্যাক আপ ওপেনার নিয়ে। সৌম্য সরকার কিংবা নাঈম শেখের যেকোনো একজনকে রাখা হবে স্কোয়াডে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবে নাঈমকেই ভাবছেন নির্বাচকরা।
অবশ্য ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে ব্যাট করা আর ডানহাতি পেসের সুবাদে সৌম্য নেদারল্যান্ডস সিরিজের দলে ডাক পেতেও পারেন। তবে এশিয়া কাপের দলে নাঈমকেই হয়তো আরেকটা সুযোগ দেবেন নির্বাচকরা। যদিও টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে তার ফর্মও খুব একটা আশা জাগানিয়া নয়।
প্রাথমিক দল থাকলেও সাম্প্রতিক ফর্ম ও ব্যাটিং পজিশন বিবেচনায় মূল দলে নাজমুল হোসেন শান্তর ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ তিনে ব্যাট করেন, খোদ অধিনায়ক লিটন। যদিও ফিটনেস ক্যাম্প চলাকালীন কোচ সোহেল ইসলামের সাথে আলাদা করে নেটে কাজ করেছেন শান্ত।
দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা নুরুল হাসান সোহানের ফেরার ব্যাপারেও একটা আলোচনা আছেন ক্রিকেট পাড়ায়। যদিও দলে থাকার আলোচনায় খুব একটা নেই এই ক্রিকেটার। কারণ তার প্লেইং রোল। লিটনের সাথে জাকের আলী অনিক আছেন উইকেটকিপার ব্যাটারের ভূমিকায়। সেই হিসেবে সোহানকে দলে জায়গা করে দেয়া নির্বাচকদের জন্য একটু কঠিনই।
চার পেসার নিয়ে সাজানো হতে পারে এশিয়া কাপের স্কোয়াড। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব ও শরীফুল ইসলামের নামও প্রায় চূড়ান্ত। হাসান মাহমুদ থাকতে পারেন বিবেচনার বাইরে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এশিয়া কাপে যাচ্ছেন, তা এক প্রকার নিশ্চিতই। শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন আর নাসুম আহমেদ থাকবেন স্পিন আক্রমণে।
মিডল অর্ডারে তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম পাটোয়ারীরা লিটনের দলে শুরু থেকেই নিয়মিত মুখ। তবে ব্যাটিং ফর্ম বিবেচনায় মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গা পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন আছে।
এশিয়া কাপের সম্ভাব্য স্কোয়াড
তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক), নাঈম শেখ/সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী অনিক, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব ও শরীফুল ইসলাম।