বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ও কারা কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে পালিত হয়েছে বৈশাখী উৎসব। আয়োজনের মধ্যে ছিল পান্তা-ইলিশ দিয়ে সকাল শুরু, দুপুর ও রাতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এবং দিনব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম।
ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানান, সকালেই বন্দিদের জন্য পরিবেশন করা হয় পান্তা-ইলিশ ও ভর্তা। দুপুর ও রাতের খাবারে রয়েছে পোলাও, মুরগির রোস্ট, মিষ্টি, পান-সুপারিসহ উন্নত খাবার। কোথাও কোথাও গরুর মাংসও দেওয়া হয়। বিকেল ৩টায় কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় সকাল ৯টায়। এতে ঘোড়ার গাড়ি, শাড়ি-লুঙ্গিতে সজ্জিত কারারক্ষীরা গ্রামীণ ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলেন।
কারা স্টাফদের জন্যও রয়েছে পান্তা-ইলিশ, বিশেষ খাবার ও সন্ধ্যায় আলাদা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা স্বজনদের দেওয়া হয় ওয়েলকাম ড্রিংকস। বাচ্চাদের জন্য ছিল চরকি, ক্যাপ, বেলুন ও হাওয়াই মিঠাই বিতরণ।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত-উল-ফরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নববর্ষ উপলক্ষে দেশের সব কারাগারেই উৎসবমুখর পরিবেশে বন্দি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নানা আয়োজন করা হয়েছে।’
বৈশাখের এই আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরেছেন কারাবন্দিরাও—এই ব্যতিক্রমী আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।