‘এনসিসি’র নাম-কাঠামোতে বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত
Highlights
  • সভাপতি হবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন-প্রধানমন্ত্রী, উচ্চকক্ষের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিরোধী দল ছাড়া অন্যান্য বিরোধী দল থেকে একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির মনোনীত একজন প্রতিনিধি (আইন ও নির্ধারিত যোগ্যতা অনুযায়ী) এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নামের প্রস্তাবিত সংস্থার নাম ও কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’। নতুন প্রস্তাবে এ সংস্থার নামকরণ করা হয়েছে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই তথ্য জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত বিবেচনায় নিয়ে এনসিসি প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে কমিশন। নতুন কাঠামো অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন না। তাদের জায়গায় কমিটিতে থাকবেন উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের স্পিকার।’

এ কমিটি হবে সাত সদস্যবিশিষ্ট, যার সভাপতি হবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন-প্রধানমন্ত্রী, উচ্চকক্ষের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিরোধী দল ছাড়া অন্যান্য বিরোধী দল থেকে একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির মনোনীত একজন প্রতিনিধি (আইন ও নির্ধারিত যোগ্যতা অনুযায়ী) এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, এই কমিটি শুধু সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের দায়িত্বে থাকবে। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগ এই কমিটির আওতায় পড়বে না।

কমিশনের এই সংশোধিত প্রস্তাব নিয়েই বুধবার আলোচনা সভা চলে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর  প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অধিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ঐক্যমত্য কমিশন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *