পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ভারত একাধিক স্থানে ‘হারপ’ ড্রোন পাঠিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরেকটি প্রকাশ্য সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে।’
দেশটির প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, তিনি দাবি করে বলেন, ‘পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ভারতের পাঠানো ১২টি ”হারপ ড্রোন” ভূপতিত করেছে।’
বুধবার রাতে ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র হামলার জের কাটতে না কাটতেই এই ড্রোন ভূপতিতের খবর এল। ওই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের কাশ্মীর সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি সেখানের গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে ভারত।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ওই হামলায় পাকিস্তান ও আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে ‘বেসামরিক নাগরিক’ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ ও আহত ৫৭ জন হয়েছে।
ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রথমে অন্তত ২৬ ‘বেসামরিক নাগরিক’ নিহত এবং আরও ৪৬ জন আহত হন বলে জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। ভারতের এনডিটিভি অবশ্য নিহতের সংখ্যা ৭০ বলছে। গত মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে এক বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহতের জেরে পাকিস্তানে ওই হামলা চালায় ভারত।
এর আগে বার্তা সংস্থা এপির জানিয়েছিল, পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে বৃহস্পতিবার ভোরে একটি নৌবাহিনীর বিমানঘাঁটির কাছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি ভারতীয় ড্রোন ভূপতিত করেছে বলে দেশটির পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিজওয়ান জানান, লাহোরের ওয়ালটন নামক আবাসিক এলাকায় — যেখানে সেনাবাহিনীর স্থাপনাও রয়েছে — সেখানে একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম আরও জানিয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশের অন্যান্য দুটি শহরেও আরও দুটি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি ছোট ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে। ড্রোনটি সশস্ত্র ছিল কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে নতুন করে কোনো ড্রোন পাঠানোর কথা স্বীকার করা হয়নি।