উত্তরের জেলাগুলোতে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। এই গরমে অসুস্থ হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টি কমে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই প্রখর খরতাপে পুড়ছে উত্তরাঞ্চল। রংপুরসহ উত্তরের অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রা বেশ বেড়েছে। মাঝে মাঝে আকাশে মেঘ জমলেও তেমন কোনো বৃষ্টি হচ্ছে না।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আখতারুজ্জামানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, ‘গরমে অসুস্থ হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২১ জন শিশু।’
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, বিভাগের অন্য আট জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতালেও গরমে অসুস্থ হয়ে আরও ২৮৬ শিশু ভর্তি আছে।
এ অবস্থায় এমন গরমে শিশুদের অযথা ঘরের বাইরে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।
রংপুরে সরেজমিন দেখা যায়, প্রখর খরতাপে স্টেশন রোড, জিএল রায় রোড, সেন্ট্রাল রোডসহ নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে জনসমাগম একেবারেই কম। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ক্রেতার সমাগম নেই বললেই চলে।
গরমের কারণে ডাব, কোমল পানীয়, জুস ও স্যালাইনের বিক্রি বেড়েছে। রংপুরে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ অঞ্চলের রিকশাচালক হামিদ মিয়া বলেন, ‘নিচ থেকে আসছে সড়কের তাপ, আর ওপর থেকে সূর্যের তাপ—দুইয়ে মিলে জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমন গরমে সড়কে টিকে থাকা মুশকিল।’
অন্যদিকে, রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, ‘এখন তাপমাত্রা বাড়লেও দুই-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।