ঈদে ৩১৫ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩২২

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
ফাইল ফটো

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ঈদুল ফিতরের সময় ১৫ দিনে ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত এবং ৮২৬ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি একই সময়ে রেলপথে ২১টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত, আটজন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে চারটি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, একজন আহত ও একজন নিখোঁজ আছেন।
সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত ও ৮৩৫ জন আহত হয়েছেন।

এবার দীর্ঘ ছুটির কারণে মানুষজন ধাপে ধাপে বাড়ি ফেরায় দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলে মনে করেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি জানান, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ২৪ মার্চ থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনে ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত ৮২৬ জন আহত হয়েছে। ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ, আহত ৪০ দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৩৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫১ জন নিহত, ১৫৫ জন আহত হয়েছেন, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪২ দশমিক ৮৫ শতাংশ, নিহতের ৪৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং আহতের ১৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ প্রায়।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ছবি: সংগৃহীত

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে সড়কে মাফিয়া সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ায় ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকায় সড়কে খানিকটা শৃঙ্খলা ফিরেছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগানোর কারণে স্বস্তিদায়ক যাতায়াতের পাশাপাশি দুর্ঘটনা কিছুটা কমেছে।’

যাত্রী কল্যাণ সমিতি দুর্ঘটনার কিছু কারণ শনাক্ত করেছে। কারণগুলো হলো- সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা অবাধে চলাচল। জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা। সড়কে মিডিয়ামে রোড ডিভাইডার না থাকা, অন্ধ বাঁকে গাছপালায় দৃষ্টি-প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি। উল্টোপথে যানবাহন চলাচল, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন। অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রীবহন। বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কিছু সুপারিশ দিয়েছে সংস্থাটি। এগুলো হলো- মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা। দক্ষচালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান। গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কে সার্ভিস লেনের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন বিষয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *