কক্সবাজারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হিসেবে বদলি হয়ে আসার সাড়ে পাঁচ মাসের মাথায় প্রত্যাহার করা হয়েছে বিতর্কিত কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানকে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) দাউদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
দুদক সূত্র দাবি করছেন, গুলশান আনোয়ার প্রধানকে ‘শাস্তিমূলক’ বদলি হিসেবে পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।
অফিস আদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (গোয়েন্দা ইউনিট) মো. রাশেদুল ইসলামকে কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের এই আদেশে ৬ জন উপপরিচালককে বিভিন্ন এলাকায় বদলি করা হয়। বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের আগামি ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদক যে মামলা করেছিল তার বাদী ছিলেন গুলশান আনোয়ার প্রধান। তখন তিনি দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২৫ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ১৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনি চার্জশিট দেন।
যদিও চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের এক রায়ে ওই মামলাটি বাতিল হয়ে গেছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে মামলা বাতিলের এই রায় দেন।
সূত্রের দাবি, রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার কারিগর ছিলেন গুলশান আনোয়ার। তিনি অতি উৎসাহী হয়ে মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলার বাদী হন। এর আগে ২০২০ সালের ২৯ আগষ্ট দৈনিক সংবাদে একটি নিবন্ধে তিনি শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে লিখেন- ‘তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, বাঙালির প্রথম রাষ্ট্রের স্রষ্টা’।
চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি গুলশান আনোয়ার প্রধানকে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বদলি করা হলে সামাজিক মাধ্যমে তাকে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়।