জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক (এনসিপি) নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেক ডিফিকাল্টির মধ্যে আছি। আপনারা দেখেছেন, গোপালগঞ্জে আমাদের সঙ্গে কী হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় নানাভাবে বাধা আসছে। আমরা আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আপনাদের দোয়া আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ চট্টগ্রামে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেটের মোটেল সৈকতে জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা শহীদ পরিবারের খোঁজখবর নেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি যখন সরকারে ছিলাম বা আমাদের পক্ষ থেকে যারা সরকারে গেছেন, আমরা জুলাই শহীদ পরিবারের বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু দেখা গেছে, সরকারের উদ্যোগগুলো মাঠপর্যায়ে তেমনভাবে পৌঁছায়নি বা পৌঁছাতে দেরি হয়েছে।’
কেননা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা আছেন। শহীদ পরিবারের যে সম্মান পাওয়ার কথা, সেটি হয়নি; বিভিন্ন জায়গায় আমরা সে অভিযোগগুলো শুনি, যোগ করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছে কোনো দল হিসেবে আসিনি। আমরা অভ্যুত্থানে ছিলাম। আপনাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, সে জায়গা থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে একটি পরিবার মনে করি। অবশ্যই শহীদ পরিবারদের—শহীদদের কোনো দল হয়নি, এটা আমরা মনে করি। তারা পুরো বাংলাদেশের, দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।’
শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল আরিফসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু করেছে এনসিপি। এর অংশ হসেবে গতকাল দুপুরে কক্সবাজারের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করে দলটি। সেখান থেকে চকরিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল দলটির নেতা-কর্মীদের। কিন্তু চকরিয়ায় পথসভার মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়। এ কারণে চকরিয়ায় সভা হয়নি।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় বান্দরবান জেলায় দলের পদসভা হয়। সেখান থেকে দলের নেতারা রাতেই চট্টগ্রাম শহরে পৌঁছান। রোববার সকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে রাঙামাটির উদ্দেশে রওনা দেন তারা।