‘আইনের ভুল প্রয়োগে শাস্তির বিধান থাকতে হবে’

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান । ছবি: সংগৃহীত ইউএনবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জনগণ যেন আইনে থাকা অধিকারগুলো ভোগ করতে পারেন এবং যেসব অধিকার থেকে তারা এখনো বঞ্চিত, তা অর্জনের জন্য লড়াই করতে পারেন–এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি আইনে এমন কঠোর বিধান থাকতে হবে, যাতে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বা আইন লঙ্ঘন করলে, তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।

তিনি বলেন, ‘আমার মতে, প্রতিটি আইনে একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত–যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আইন প্রয়োগে ভুল করেন বা অন্যায়ভাবে আইন লঙ্ঘন করে জনগণকে নিপীড়ন করেন, তাহলে তাদের জন্য শাস্তির বিধান থাকতে হবে।’

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ২০২৫’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যখন প্রভাবশালী অবস্থানে থাকা ব্যক্তিরা আইন ভঙ্গ করেন বা জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হন, তখন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ও শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনি প্রক্রিয়া থাকা আবশ্যক।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধু কাগজে আইন লেখা বা ভাষাকে সুন্দর করলেই হয় না। যারা আইন প্রয়োগ করবেন, তারা যদি সেই আইনকে ব্যবহার করে জনগণকে দমন করেন, আর তাদের বিচার করার কোনো উপায় না থাকে, তাহলে সেই আইনের কোনো বাস্তব মূল্য থাকে না।’

সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কিছু পরিবর্তন আনা হলেও এই আইন এখনো জনগণের প্রয়োজন পূরণে ব্যর্থ।’

দেশের শ্রম আইন বাস্তবায়নের দুর্বলতা নিয়েও সমালোচনা করে  তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক আইন অস্পষ্ট, আর এই অস্পষ্টতা অনেক সময় কর্তৃপক্ষ বা আইন প্রয়োগকারীরা জনসাধারণকে হয়রানির জন্য কাজে লাগান।’

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘জনগণকে তাদের অধিকার বোঝাতে, বিদ্যমান আইনের ত্রুটিগুলো ব্যাখ্যা করে এবং সেই ত্রুটিগুলো সংশোধনের কাজে জনগণকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে বুঝিয়ে, তাদের মধ্যে আইনি সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য তিনি সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও পেশাজীবী প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *