আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি আগামী নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকটি বিকাল পাঁচটায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সাতটি রাজনৈতিক দল এবং হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় গণফ্রন্ট।
এ ছাড়া, গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও এনসিপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
বৈঠক শেষে জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের জানান, তারা প্রধান উপদেষ্টাকে দুটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন—একটি হলো নির্বাচনী পরিবেশ এবং অন্যটি বিচার ও সংস্কার।
তিনি বলেন, ‘সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। এর ফলে নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে রাজনৈতিক মহলে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হচ্ছে।’
নির্বাচনী পরিবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ সমন্বয়ের জন্য প্রধান উপদেষ্টা একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।’
বিচার ও সংস্কারের বিষয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন,’বিচার ব্যবস্থার দৃশ্যমানতা নিশ্চিত করা যেমন জরুরি, তেমনি সংস্কার কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, সে বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব বিষয় সংবিধান সংশ্লিষ্ট নয়, তবে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলোর জন্য বর্তমান সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা পরবর্তীতে সংসদে বৈধতা পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ’যেসব বিষয় সংবিধান সংশ্লিষ্ট কিন্তু ঐকমত্য হয়নি, সেগুলোর ফয়সালা জনগণ করবে। এই উদ্দেশ্যে আগামী নির্বাচনের নাম হতে পারে “সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন”, যেখানে সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের অনুমোদন পাবে এবং পাঁচ বছর ধরে জাতীয় সংসদ হিসেবে সরকার পরিচালনা করবে।’