পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণের ৮ দিন পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সভাপতি নিপন ত্রিপুরাও শিক্ষার্থীদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পিসিপি চবি শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক রিবেক চাকমার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংগঠনের চবি শাখার সদস্য রিশন চাকমা এবং তার চার বন্ধু—চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো—ধাপে ধাপে মুক্তি পেয়েছেন।’
পিসিপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে চবির সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। সেই জনগণের চাপের মুখে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে।’
বিবৃতিতে আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে পিসিপি চবি শাখা বলেছে, ‘এটি প্রমাণ করে—সংগঠিত গণচাপ ও সোচ্চার প্রতিরোধ পাহাড়ে অপশক্তির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।’
বিবৃতিতে অপহরণ থেকে মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও চবি প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পিসিপি।
চাকমাদের বর্ষবরণ উপলক্ষে ‘বিঝু’ উৎসব শেষে ফেরার পথে গত ১৬ এপ্রিল ভোরে খাগড়াছড়ির সদরের গিরিফুল এলাকায় পাহাড়িদের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী পাঁচ শিক্ষার্থীসহ এক গাড়িচালককে অপহরণ করে। পরে চালককে ছেড়ে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের আটকে রাখা হয়।
পিসিপির একাংশ ওই অপহরণের জন্য শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ’কে দায়ী করলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করে।