ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের তদন্ত ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা।
আলোচিত এ মামলায় পুলিশ ইতোমধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার ও রহস্য উদঘাটনের কথা বললেও স্বজনরা নানা প্রশ্ন তুলেছেন তদন্ত নিয়ে।
সাম্যর বড়ভাই সরদার আমিরুল ইসলাম সাগর টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘পুলিশ কাকে ধরে কি বলছে, সেটা আমরা জানি না। আদালতে আসামির জবানবন্দি ও পুলিশের বক্তব্যে আমরা ভিন্নতা দেখেছি। আমরা হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত খুনির বিচার চাই। নিরপরাধ কাউকে যেন ফাঁসানো না হয়।’
সাম্য হত্যার মোটিভ উদঘাটন ও প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ছাত্রদলের এ এফ রহমান হলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাম্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দেয়া তথ্য বিভ্রান্তিকর। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা জাতির সামনে উন্মোচনের দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে গ্রেপ্তার এক আসামি সুজন সরকারের ছোটভাই আল আমীন সরকার পুলিশি হয়রানির দাবি করেছেন। তিনি জানান, সুজন সরকার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে গেলে ডিবি তাকে আটকে রাখে। পরে তাকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘তদন্তে যার নাম পাওয়া গেছে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের বাইরে কাউকে আটক করা হয়নি। একাধিকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সুজন সরকারের সংশ্লিস্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
১৩ মে দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সাম্য গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহতের ভাই শরীফুল আলম বাদি হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় সোহাগ, হৃদয় ইসলাম, রবিন, মেহেদী হাসান, রাব্বি ওরফে ‘কবুতর’ রাব্বি, নাহিদ হাসান পাপেল, সুজন সরকার, রিপন, তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক ও মো. পলাশ সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজন আসামি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।