দায়িত্ব নিয়েই বিসিবিতে কাজের গতি এনেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। নির্বাচনের পরদিনই প্রথম বোর্ড সভা বসে বিসিবিতে, আর সেই সভার শুরুতেই আমিনুল নিজে উপস্থাপন করেন একটি প্রেজেন্টেশন। বিসিবির ইতিহাসে এমনটা দেখা যায়নি আগে কখনও।
সভায় তিনি তুলে ধরেন নিজের চারটি প্রধান পরিকল্পনা—
-খেলার স্পিরিট অক্ষুণ্ণ রাখা
-সবার সেরা পারফর্মেন্স বের করে আনা
-সবার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে এগিয়ে যাওয়া
-সকল কর্মকর্তাদের মধ্যে কাজের সচ্ছতা নিয়ে আসা
এরই মধ্যে এই চারটি প্রোগ্রামের বাস্তবায়নও শুরু হয়ে গেছে বলে জানান বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান।
সভায় আমিনুল জানান, ৩০ জুনের মধ্যে বিসিবির প্রত্যেক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ বিভাগের উন্নয়ন পরিকল্পনার উপরও প্রেজেন্টেশন দিতে হবে।
বিকেন্দ্রীকরণের পথে প্রথম পদক্ষেপ
ক্রিকেটকে ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দিতে এবার পাইলট প্রকল্প হাতে নিচ্ছে বিসিবি। রাজশাহী এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম অঞ্চলকে প্রথম ধাপে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলে গড়ে তোলা হবে ‘মিনি বিসিবি’র আদলে আঞ্চলিক অফিস।
রাজশাহীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিচালক সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরীকে, আর ঢাকা-চট্টগ্রামের দায়িত্ব পেয়েছেন সালাহউদ্দিন চৌধুরি। মিডিয়া বিভাগের প্রধান জানান, জাতীয় পর্যায়ের আগ পর্যন্ত স্থানীয় ক্রিকেট কার্যক্রম এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হবে।
আর্থিক হিসাব: লাভে না লোকসানে বিসিবি?
বিপিএল থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে বিসিবি লাভ করেছে প্রায় ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, টিভি স্বত্ব ও স্পন্সর মিলিয়ে আরও ২১ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বিসিবির। সব টাকা আদায় হলে এই আসর থেকে মোট লাভ দাঁড়াবে ৭৫ লাখ টাকা।
তবে আগের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এ ধরনের পাওনা অনেক সময় আদায় করা সম্ভব হয় না। তাই আদায় না হলে এবারও লোকসানই গুনতে হবে বোর্ডকে।
অন্যান্য সিদ্ধান্ত
-
বিসিবির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (CFO) নিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
-
মানবসম্পদ (Human Resource) বিভাগ ঢেলে সাজাতে আসছে নতুন এইচআর কনসালট্যান্ট
-
আম্পায়ার ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটালাইজেশন প্রোগ্রাম
-
পরবর্তী বিসিএল আয়োজন হবে সেপ্টেম্বর মাসে
-
কিউরেটরদের জন্য টবি লামসডেনের তত্ত্বাবধানে কোর্স আয়োজন
প্রথম দিনেই বিসিবির নানা স্তরে কাজ শুরু করে দিয়েছেন আমিনুল ইসলাম। ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের ইঙ্গিত যেন মিলছে শুরুতেই।