রাজধানীর গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান সাধন হত্যাকাণ্ডে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ‘সন্দেহভাজন দুই হত্যাকারী’কে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। ওসি সাইফুল বলেন, ‘হত্যার কারণ (মোটিভ) উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’ তবে তদন্তের স্বার্থে ওই ‘দুই হত্যাকারীর’ নাম-পরিচয় প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
আলোচিত ওই হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভিন্ন একটি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ডিশ ব্যবসার বিরোধ অথবা রাজনৈতিক কোন্দলে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। সম্ভাব্য এই দুই মোটিভ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুদারাঘাট ৪ নম্বর গলিতে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে বিএনপি নেতা সাধন গুলিতে নিহত হন। তিনি ছিলেন পেশায় ডিশ ব্যবসায়ী।
ঘটনার সময়ের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুজন হেঁটে এসে সাধনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তিন সেকেন্ড সময়ের মধ্যে তারা কয়েক রাউন্ড গুলি করে সামনের দিকে হেঁটে যায়। কেউ তাদের বাধা দেওয়ার সুযোগ পাননি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, গুলিতে গুরুতর আহত সাধনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনরা জানান, গুদারাঘাটের ৪ নম্বর রোডে সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের কার্যালয়ের উল্টো দিকে একটি চায়ের দোকান আছে। সেখানে গলির মুখে স্থানীয় বিএনপি নেতা কাইয়ুমের ভাগ্নে কামরুল ও আরও কয়েকজনের সঙ্গে চেয়ার পেতে সাধন বসেছিলেন। এ সময় মাস্ক পরা দুজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ সেখানে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুলিতে বিএনপি নেতা সাধন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ সাধনকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের বুক, পিঠ ও ঘাড়ে গুলির আঘাত রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।