বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা কেন? একটা নির্দিষ্ট করে মাস বলুন। জনগণের ইচ্ছা প্রকাশের মূল হাতিয়ার গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করবে দেশবাসী?
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা করা হয়।

সভায় বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘বিএনপি স্পষ্টভাবে বলেছে, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চাই। তারপর নির্বাচন নিয়ে ডিসেম্বর না জুন এমন ধোঁয়াশা কেন? একটা নির্দিষ্ট করে মাস বলুন। জনগণের ইচ্ছা প্রকাশের মূল হাতিয়ার গণতন্ত্র। সংস্কারের তো বেশি সময় লাগার কথা না, কাজ তো চলছে।’
‘গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করবে দেশবাসী? এতদিনের মধ্যে তো হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা তো নেই।’
উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। তার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফ করিয়েছেন। এসব বেআইনি না হলেও দৃষ্টিকটু। এমন অভিযোগ কি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কেউ বলতে পারবেন? তিনি ক্ষমতায় থেকে এসব কিছুই করেননি। তিনি যে অনন্য এটাই তার প্রমাণ।’
‘আর উপদেষ্টারা নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে, রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে যদি নির্বাচনে আসার মতো জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করে, তাহলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেবেই।’
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘আমারা ধারাবাহিকভাবে আপসহীন ছিলাম বলেই হাসিনা পালিয়েছে। ভারতকে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে দিয়েছে বলেই হাসিনাকে ভারত জায়গা দিয়েছে। সে যেখানেই থাকুক তার বিচার হবেই। আমারা চাই না প্রধান উপদেষ্টা বিতর্কিত হন।’