বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘আমি মেয়রের চেয়ার (পদ) নিয়ে টান না দিলে কি থলের বেড়াল বের হতো?’ রোববার সকালে বিক্ষুব্ধ জনতার মিছিলের ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে এমন কথা লেখেন তিনি।
ইশরাক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘রিকশাচালক ভাইদের ধন্যবাদ। আমার ন্যায্য অধিকার সরকার দিচ্ছে না। প্রয়োজনে নতুন আইন পাস করবে– শুধু মাত্র ঢাকা দক্ষিণ মেয়র পদে ঠেকাতে।’
‘এই ছাত্ররা যখনই তাদের হুকুম মতো কিছু না পায়, তখন মব নিয়ে আসে, অনেক জায়গায় রিপোর্ট আছে’, উল্লেখ করেন তিনি।
ইশরাক আরো বলেন, ‘এখন এরা আইন মানবে না, কোর্ট মানবে না; আর আমলাতন্ত্র ওদের ভুলপথে চালাচ্ছে।’
তিনি জানান, ‘নতুন পার্টির সবচেয়ে বড় শক্তি কি? মানুষ চেয়েছিল সততা। দুর্নীতি হবে না। বিশাল বড় বড় ডিল হচ্ছে। অথচ আমাদের কেউ কেউ সুযোগ নিলেও ৯০% তৃণমূল এখনও লড়াই করে যাচ্ছেন।’
সবশেষে তার প্রশ্ন, ‘অনেকেই যারা আমার কৌশল বোঝেন নি, আমি মেয়র চেয়ার নিয়ে টান না দিলে কি থলের বেড়াল জনগণের কাছে বের হতো?’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে শনিবার সকাল থেকে আবারও নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তার সমর্থকরা।
এর আগে ১৪ মে থেকে টানা ছয়দিন এ কর্মসূচি শুরু হলে নগর ভবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয়সহ পুরো নগর ভবনের গেট আবারও হয়ে পড়ে তালাবদ্ধ। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীবও অফিস করতে পারেননি।
সেখানে আবারও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নগর ভবনে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ নাগরিক।
ইশরাক সমর্থকরা ৪৮ ঘণ্টা কাকরাইলের মোড়ে অবস্থান নিলে আদালতের রায় বিএনপির পক্ষে গেলে বৃহস্পতিবার আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা আসে।
এর আগে ২৭ মার্চ একটি ট্রাইব্যুনাল ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনের ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করলেও জনৈক বাসিন্দা এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। তবে গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দেয়।
এ অবস্থায় ইশরাক সমর্থকদের দাবি, আদালতের রায় ও গেজেট অনুযায়ী তাকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া জরুরি।