‘ফিল্ড মার্শাল’ পেলেন আসিম মুনির

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। ছবি: আইএসপিআর, পাকিস্তান

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শালের মর্যাদা দিয়েছে।

অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস ও ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাত ‘মারকায়ে হক’-এ সাহসিক নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিটিশ আদলে গঠিত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদ হলো ফিল্ড মার্শাল। এর আগে পাকিস্তানে এই মর্যাদা পেয়েছিলেন কেবল জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মারকায়ে হক ও অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস-এ উচ্চপর্যায়ের কৌশল ও সাহসিক নেতৃত্বের মাধ্যমে শত্রুকে পরাজিত করার জন্য জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির (নিশান-ই-ইমতিয়াজ মিলিটারি)-কে ফিল্ড মার্শালের পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাপ্রধান অসাধারণ সাহস ও দৃঢ়তা নিয়ে সামরিক বাহিনীর সব শাখার সঙ্গে সমন্বয় করে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। তার অতুলনীয় নেতৃত্বে পাকিস্তান অর্জন করেছে একটি ঐতিহাসিক সামরিক বিজয়।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ৬ ও ৭ মে রাতে ভারতের বিমান বাহিনী পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরে হামলা চালালে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। কার্যত এ যুদ্ধের অবসান ঘটে ১০ মে মার্কিন হস্তক্ষেপে। তখনই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়। আসিম মুনিরের ফিল্ড মার্শাল অর্জন সাম্প্রতিক এ ভূমিকার সূত্রে।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এই পদোন্নতির প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, যা মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এ সিদ্ধান্তের আগে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে এ বিষয়ে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

পাকিস্তানের সরকার একইসঙ্গে বিমানবাহিনী প্রধান জাহার আহমেদ বাবর সিধুর মেয়াদ শেষের পর তার সেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেনা সদস্য, যুদ্ধাহত, শহীদ ও বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

পদোন্নতির পর সেনাপ্রধান আসিম মুনির এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই মর্যাদা শুধু আমার ব্যক্তিগত নয়, এটি পুরো জাতির ও পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সম্মান। আমি এটি উৎসর্গ করছি দেশের জন্য জীবন দেওয়া শহীদ সৈনিক, বেসামরিক নাগরিক ও যুদ্ধাহতদের প্রতি।

তিনি আরও বলেন, এই পদ মর্যাদা, জাতির আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক, যেটির জন্য লাখ লাখ আসিম নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *