অবরোধের পর শাহবাগ ছাড়ল ছাত্রদল

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
রোববারও সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ করেছিল ছাত্রদল। ছবি: টাইমস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার তদন্তে ‘গাফিলতির’ প্রতিবাদ এবং হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে দুই ঘণ্টা অবরোধের পর শাহবাগ থেকে সরে গেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। দাবিগুলো মেনে না নেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

রোববার বিকেল পৌনে চারটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাড়ে পাঁচটার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা শাহাবাগ ছেড়ে চলে গেছেন।’

বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে শাহবাগ থেকে চলে যান।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা চলে যাওয়ার পর শাহবাগ মোড় দিয়ে আবারও যান চলাচল শুরু হয়। শাহবাগ অবরোধের ফলে রাজধানী জুড়েই যানজট তৈরি হয়। বিশেষ করে অফিস ফেরত লোকজন বিস্তর ভোগান্তির শিকার হন।

অবরোধ কর্মসূচিতে শাহরিয়ার আলম হত্যার বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বক্তব্য দেন। তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন। এছাড়া শাহরিয়ারের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ তাদের অন্য দাবিগুলো মেনে না নেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে রোববার সকাল ১১টায় বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। পরে তারা ক্যাম্পাসে মিছিল নিয়ে প্রদক্ষিণের পর শাহবাগ থানা ঘেরাও করেন।

শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সাম্যের হত্যার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না। নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান সংহতি জানাতে উপস্থিত হন। তিনি জানান, শনিবার ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। রোবাবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বলেও জানান ভিসি।

উপাচার্য আরও জানান, ঘটনার পরপরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং রোববার থেকে তাদের রিমান্ড শুরু হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *