স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের হাতে ‘মারণাস্ত্রের’ প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। পুলিশের হাতে বড়জোর শটগান থাকবে, বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার পুলিশ স্টাফ কলেজের পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, ‘পুলিশের হাতে যেন আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে, এগুলো তাদের জমা দিয়ে দিতে হবে। কোনো মারণাস্ত্র আর অস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। কিন্তু আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে থাকবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের সূত্র ধরেই সাংবাদিকরা পুলিশ বাহিনীর প্রধানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
পুলিশ বাহিনীকে আর কোনো মারণাস্ত্র না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করেন কীনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘আমরা অন প্রিন্সিপাল এটা মনে করি পুলিশ ক্যান নট বি এ কিলার ফোর্স। আমার কাছে বড়জোড় শটগান থাকবে, এটাই একটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা সবার। তাই না?
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা মিন করেছে, যে অস্ত্রের গুলির ফলে নিশ্চিত মৃত্যু হয়, যেমন রাইফেল, যেগুলো থেকে বুলেট নির্গত হয়, এগুলা অ্যাভয়েড করব। আমরা এটা নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করে ঠিক করব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘যেসব জায়গায় ইনসার্জেন্সি থাকে, রিভল্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বিদ্রোহী থাকে যেখানে, সেসব জায়গায় আসলে আর্মামেন্টরিয়ামটা ডিফরেন্ট হয়। কিন্তু স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মারণাস্ত্রের প্রয়োজন নেই।’
‘ওই উইল ট্রাই, আমাদের যেন লিথাল উইপন না থাকে। ননলিথাল উইপন, দ্যাট ইজ অ্যাকচুয়ালি এক্সেপটেড অল অভার দ্য ওয়ার্ল্ড।’-যোগ করেন তিনি।
আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব আয়োজিত এই টুনার্মেন্টে এবারের বিজয়ী দল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ইউনিট। টুর্নামেন্টে রানারআপ হয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ, পুলিশ ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি সিদরাত উল্লাহসহ ঊর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।