জবাব দিলেন আসিফ নজরুল

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির ইস্যুতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ সমালোচনা চলছে। বিভিন্নজনের আক্রমণাত্মক এসব অভিযোগের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই জবাব দিয়েছেন আসিফ নজরুল।

শুক্রবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর, যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্ন আদালতের বিচারকেরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেওয়া না বা কারও চলাচলে বাধা দেওয়া না।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করব, এটা কীভাবে সম্ভব?’

‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন, এ নিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয়, তার দায়দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।’

‘আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারব। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইনসহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোনো সমস্যা না। রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় আসলে, অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *