চিন্ময়ের ‘জামিন’ নিয়ে যা হয়েছে

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত
Highlights
  • ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা এলাকার মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন। পরবর্তীতে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বুধবার দুপুরে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। বিকেলে এ জামিন ‘স্থগিতের আদেশ’ দেয় চেম্বার আদালত। আর সন্ধ্যায় ‘স্থগিতের আদেশ’ প্রত্যাহার করে নেন চেম্বার বিচারপতি। একই দিনে চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন প্রশ্নে উচ্চ আদালতের তিন রকম সিদ্ধান্তে তৈরি হয় নানা কৌতুহল।

সর্বশেষ চেম্বার বিচারপতির সিদ্ধান্তে ‘জামিন স্থগিতের আবেদন’ শুনানির জন্য রোববার (৪ মে) দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন চেম্বার জজ আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন।

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান খান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।

অন্যদিকে বিকেলে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এই আদেশ দেয়।

হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি প্রকাশ ও নিয়মিত ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নী জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

চেম্বার আদালত জামিন স্থগিতের আদেশ দেওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই সেটি প্রত্যাহার করে নেন চেম্বার বিচারপতি। পরে জানা যায়, রোববার জামিন স্থগিতের আবেদনে শুনানি হবে।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্টে চিন্ময়ের পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। তিনি জানান, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এবং বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াই কারাবন্দি রয়েছেন। তবে তখন হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেননি।

২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা এলাকার মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন। পরবর্তীতে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলাটিতে চিন্ময়সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করে। এ নিয়ে সোচ্চার হয় ভারতের গণমাধ্যম ও সে দেশের কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *