কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ভবানীপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই বংশের সংঘর্ষে মিজান মিয়া (৪০) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে এ সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। নিহত মিজান উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব এবং সরকারবাড়ির অনুসারী ছিলেন।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, সহিংসতা আবারও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানী সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামের কর্তাবাড়ি ও সরকারবাড়ির মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের ছায়া আশপাশের গ্রামগুলোতেও পড়েছে। ভবানীপুরে সংঘর্ষটি ছিল সেই বিরোধেরই ধারাবাহিকতা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত পাঁচ দশকে দুই বংশের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন, হয়েছে শতাধিক মামলা। প্রতি বছর ওইদুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েই আসছে। সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি ফেরাতে একটি ‘শান্তি কমিটি’ গঠিত হলেও তাতে স্থায়ী সমাধান আসেনি।
গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) গ্রামে কর্তাবাড়ির লোকজনের ফেরা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সেটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। শুক্রবার সকালে চকবাজার এলাকায় সালিশ বসলেও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা সংঘর্ষে গড়ায়। নিহত মিজানকে ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।