আগামী জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় বিএনপি একেবারেই সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি’র প্রতিনিধিদলে ছিলেন- জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহম্মেদ, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে আমাদের উদ্বেগের কারণগুলো তাকে জানিয়েছি। প্রধান যে বিষয়টি ছিল, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ—যেটা আমরা বেশকিছুকাল থেকেই বলে এসেছি—সে বিষয়ে তার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।’
‘বর্তমানে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আছে এবং দেশের যে অবস্থা, তাতে করে আমরা বিশ্বাস করি, এখানে একটি অতি দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। একইসঙ্গে চলমান যে সংস্কার কমিশনগুলো, সেগুলোতে আমরা সহযোগিতা করছি,’ বলেন তিনি।
‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন দেনটি প্রধান উপদেষ্টা। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে চান।’
আপনারা তাতে সন্তুষ্ট কিনা; জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
পরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সরকারের আগের অবস্থান আবারো তুলে ধরেছেন। তিনি বিএনপির প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেছেন প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হবে। কোনোক্রমেই কালক্ষেপন করা হবে না।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হাজারেরও বেশি মানুষ জীবন দিয়েছে। ৫০-৬০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, শাররীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, অনেকে চোখ হারিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানোর বিচারের দাবি আছে।’
‘কিন্তু আমরা যদি কোনো বিচার না করে যাই, আমরা নিজেদের কাছে জবাব দেব কীভাবে’, যোগ করেন আইন উপদেষ্টা।