বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় প্রকৃত দোষী কে? দিন যত যাচ্ছে ততই এ নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে। আলোচিত এ মামলা নতুন দিকে মোড় নিতে পারে। তার অন্যতম কারণ শরিফুল নামে আসামির আঙুলের ছাপ।
মামলায় ‘বাংলাদেশি’ নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদ এখন পর্যন্ত একমাত্র অভিযুক্ত। অথচ সাইফের বাসা থেকে পাওয়া অধিকাংশ আলামতের সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপ মিলছে না! সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো আঙুলের ছাপের ২০টি নমুনার মধ্যে ১৯টিতেই তার হাতের ছাপ মেলেনি।
জানা গেছে, সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর দম্পতির ফ্ল্যাটের বাথরুমের হাতল, আলমারির হাতল, দরজার হাতলসহ একাধিক জায়গায় আঙুলের যেসব ছাপ পাওয়া গেছে, সেগুলোর সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই। কেবল অষ্টম তলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে তার আঙুলের ছাপ মিলেছে ফরেনসিক রিপোর্টে।
পুলিশের ধারণা, ঘরের ভেতরে বিভিন্ন হাতলে শরিফুলের পর অন্যরা হাত রেখেছিলেন। এ কারণে সেগুলো থেকে তার আঙুলের ছাপ মুছে গেছে। তবে পুলিশ জোর দিয়ে বলছে, অষ্টম তলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপই প্রমাণ করে শরিফুল সেই রাতে সেখানে ছিলেন।
গত ৮ এপ্রিল বান্দ্রার মেট্রোপলিটন আদালতে শরিফুলের বিরুদ্ধে হাজার পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আসা শরিফুল অবৈধ পন্থায় বোনের স্বামী আবদুল্লাহ আলিমের কাছে টাকা পাঠাতেন। বেঙ্গালুরুর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতীয় মুদ্রা পাঠিয়েছেন তিনি। চার্জশিটের তথ্যানুযায়ী, তদন্তে ১১১ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ৪৮ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়।

এ বছরের ১৬ জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সাইফ আলি খানের অ্যাপার্টমেন্ট সদ্গুরু শরণ ভবনের ভেতরে অনুপ্রবেশ করেন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। তিনি ভবনটির ১১ তলার টয়লেট দিয়ে ঢুকে পড়েন সাইফের বছর চারেকের ছেলে জেহ’র ঘরে। হঠাৎ করেই এক গৃহকর্মীর মুখোমুখি হওয়ায় প্রথমে দুর্বৃত্ত তাকে আক্রমণ করেন। তার আর্তচিৎকারে ছুটে আসেন সাইফ। বাধা দিলে তার পিঠ, কব্জি ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্ত। হামলাকারী চম্পট দেওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সেরে ওঠেন ৫৪ বছর বয়সী সাইফ।
ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ দাবি করে, সাইফ-কাণ্ডে দায়ী অবৈধ অভিবাসী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। গ্রেপ্তারের পর তার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র না পেয়ে মুম্বাই পুলিশ আরো দাবি করে, অভিযুক্ত নাকি বাংলাদেশের নাগরিক।
I don’t unremarkably comment but I gotta admit thankyou for the post on this great one : D.