লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত আরও একজন মারা গেছেন। নিহতের নাম জসিম উদ্দিন ব্যাপারী (৩৮)। তিনি উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী ছিলেন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারের জেরে গত ৭ এপ্রিল উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট ও চরবংশী গ্রামে বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর অবস্থায় জসিমসহ কয়েকজনকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সংঘর্ষের দিনই আহত অবস্থায় সাইজুদ্দিন দেওয়ান নামের আরেকজন মারা যান। এ নিয়ে ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হলো।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।
নিহত জসিম বিএনপির স্থানীয় নেতা মো. ফারুক কবিরাজের অনুসারী ছিলেন বলে জানা গেছে।
জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারে ফের সংঘর্ষ
এদিকে, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে এক তরুণের হাতের কবজি ক্ষতবিক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে সংঘর্ষের সময় একপক্ষ অপরপক্ষের ওপর বালতিভর্তি ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, দুই পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার। এর আগে গত ৫ এপ্রিল বিলাশপুর এলাকায় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয় জাজিরা।
জাজিরা থানার ওসি মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পেছনে পূর্ব শত্রুতার জের রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি, তবে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’