সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় অন্তত ৭০ জন মুসল্লি নিহত হয়েছেন। দেশটির জরুরি সেবাদানকারী কর্মী ও সেনাবাহিনীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। স্থানীয় সময় শুক্রবার নামাজ চলাকালে সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এ হামলা চালায় বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
দারফুর ভিকটিমস সাপোর্ট অর্গানাইজেশনের বরাতে এপি জানিয়েছে, গৃহযুদ্ধ ও সহিংসতায় জর্জরিত সুদানের অবরুদ্ধ এল ফাশের শহর শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শহরের দারাগা আল-ঔলা সড়কের মসজিদে এই হামলা হয়।
এতে গোটা মসজিদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে মরদেহের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় ত্রাণ সংস্থা ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস।
মানবাধিকার লঙ্ঘন পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এল ফাশের রেজিস্ট্যান্স কমিটি শুক্রবার হামলার পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে মসজিদের ধ্বংসস্তূপের চারপাশে বহু মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এপি’র খবরে বলা হয়, সুদানের সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিদ্রোহী আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে আছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ড্রোন হামলার দায় আরএসএফ-এর ওপর চাপিয়ে হতাহতদের প্রতি তারা সমবেদনা জানিয়েছে।
দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, ‘নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করাই এই বিদ্রোহী মিলিশিয়ার মূল নীতি, এবং তারা তা পুরো বিশ্বের সামনে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলটি এমন এলাকায় যেখানে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে অসংখ্য আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আরএসএফ ও সেনাদের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষ।
শুক্রবার প্রকাশিত জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সুদানে অন্তত তিন হাজার ৩৮৪ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে, যার বেশিরভাগই দারফুরে।