ছাত্র প্রতিনিধিরা সরকারের দায়িত্বে না আসলে ‘প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে থাকতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক চর্চায় পৃথিবীতে একইসাথে কেউ সরকারি দল ও বিরোধী দলে থাকতে পারে না। যেদিন ছাত্র প্রতিনিধিরা সরকারে গেলো, সেদিন আমি বুঝে গেলাম এরা রাষ্ট্র নির্মাণে আর ভূমিকা রাখতে পারবে না। সরকারি দায়িত্বে আসাটা তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয় না। তা না হলে তারা প্রেশার গ্রুপ হিসেবে থাকতে পারতো।’
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা’র তৃতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি তাদের সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালে তো হবে না, তাগিদটা তাদের অনুভব করতে হবে।
এ সময় জামায়াত নেতাদের ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, আপনাদের এক নেতা বললেন, কে সরকারি দল হবে, কে বিরোধী দল। তাহলে এটা আপনারা নিজেরা ঠিক করে নিয়েছেন, নাকি জনগণ ঠিক করবে? এতো “কনফিডেন্স” থাকলে নির্বাচনে আসেন না কেন? নানা বাহানায় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন কেন?’
‘আলোচনার মধ্যে আপনারা রাস্তায় নামলেন। আলোচনার টেবিল ও আন্দোলন একসাথে চললে সেটা হবে স্ববিরোধীতা। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়েই তো আমরা আলোচনা করছি। আমরা আলোচনায় সমাধান চাই,’ যোগ করেন তিনি।
নতুন কোনো সংকট তৈরি না করে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কোনো কোনো দল কোনো কোনো দাবি করতেই পারে, কিন্তু সেটা জাতির ওপর জবরদস্তি করা ঠিক নয়। আমরা যেন পরস্পর জবরদস্তি না করি। যে পরিবর্তন আমরা করতে চাই, সেটা রাতারাতি হবে না।’
বিএনপির এ নেতা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বলেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রধান সমস্যা আমরা সবাই মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে চাই। কিন্তু উন্নত বিশ্বে দ্বাদশ শ্রেণির পর সবাই গ্রাজুয়েশন করতে যায় না। গ্রাজুয়েশনের পর যারা রিসার্চ করতে চায়, কেবল তারাই মাস্টার্স করে।’