মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে ‘দরজা ভেঙে বাসা থেকে অপহরণের’ যে অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেটি ‘সঠিক নয়’ বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘যথাযথ আইন মেনেই তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে’। তার বিরুদ্ধ অন্যান্য অভিযোগের সঙ্গে ‘আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা’র অভিযোগও রয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তথাপি আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তার রয়েছে।’
এদিকে, বিদেশি দূতাবাসের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘটনার জেরে মেঘনাকে আটক করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মেঘনাকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
ওইদিন রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনাকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ (১) ধারায় তার বিরুদ্ধে অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাকে ৩০ দিনের জন্য আটকাদেশ দেন আদালত।
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারা অনুযায়ী জননিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মেঘনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে অভিযোগ করেন, পুলিশ পরিচয়ধারীরা তার বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করছে। প্রায় ১২ মিনিট পর লাইভটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং তা মুছেও ফেলা হয়।
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মেঘনা আলম ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার এবং নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে ভূমিকার জন্য তিনি এ স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।