সব রেকর্ড ভেঙে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ বছরের মার্চে রেমিটেন্স এল ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ৩২৯ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে আর কখনোই এ পরিমাণ রেমিটেন্স আসেনি। এর আগে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে, যা ছিল ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালের মার্চে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে চলতি বছরের মার্চে রেমিটেন্স বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতি মাসেই রেমিটেন্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা গেছে।
জুলাইয়ে এসেছিল ১.৯১ বিলিয়ন ডলার, আগস্টে ২.২২ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বরে ২.৪০ বিলিয়ন, অক্টোবরে ২.৩৯ বিলিয়ন, নভেম্বরে ২.২০ বিলিয়ন এবং ডিসেম্বরে ২.৬৪ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে এসেছিল ২.১৯ বিলিয়ন এবং ফেব্রুয়ারিতে ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল, যা সে সময় ছিল রেকর্ড। তবে সেটিও পেছনে ফেলেছে এবার মার্চ মাসের রেমিটেন্স প্রবাহ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর প্রবণতা এবং সরকারের নানা প্রণোদনা এই প্রবৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।