বাংলাদেশে ‘ভোটার ও এজেন্টবিহীন নির্বাচন’ যাতে আর না হয়, সেই জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বুধবার ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। সানাউল্লাহ জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রিসাইডিং অফিসারকে কেন্দ্র বন্ধ বা চালু রাখার সকল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন এবং অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান আরপিও থেকে বাতিল করা হয়েছে।’
নির্বাচনে প্রতীকের বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, ‘যে দলটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে, তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে, প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়াতে পারবেন কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।’
তিনি আরো জানান, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও, প্রতিটি দলের প্রার্থীরা নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘হলফনামায় মিথ্যা বা গোপন তথ্য দিলে, পরবর্তীতে ইসি সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে, সেই ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদও হারাবেন।’
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা আদালতের মাধ্যমে ফেরারি ঘোষিত হবেন, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়া যারা লাভজনক পদে আছেন বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারের মালিক, তারাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’
ইভিএম এবং ভোটের জামানত বিষয়ে তিনি জানান, এবার ইভিএম সংক্রান্ত সকল বিধান বাতিল করা হয়েছে এবং পোস্টাল ব্যালট প্রতীকের ব্যালট হিসেবে হবে। জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে এবং একক প্রার্থী থাকলে, সেই আসনের ব্যালটে ‘না’ ভোট থাকবে বলেও জানান তিনি।