‘নির্বাচন কমিশনকে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তার মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার অন্যতম। এই সমস্যা আগে ছিল না’- এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শুক্রবার ২৯ আগস্ট নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন এখন কঠিন সময় পার করছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতা নিশ্চিত করতে হবে। এই কঠিন সময়ে কমিশনের দক্ষতা ও সততা সুনিশ্চিত করতে সকলের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।’
এই কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাসউদ ও নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
এসময় ইসি আব্দুর রহমান মাসউদ বলেন, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ নেই। কেবল পাঁচজন কমিশনার দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং একইসঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ হতে যাচ্ছে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তত ৫০ হাজার নির্ভেজাল প্রিজাইডিং অফিসার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
‘ভালো নির্বাচন আয়োজনের বিকল্প নেই’ উল্লেখ করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দায়িত্ব থেকে পিছুটান দেওয়া যাবে না। বরং নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্যমূলক কাজের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।’
কে কোথায় তথ্য পাচার করছেন, সে তথ্য ইতোমধ্যে কমিশনের কাছে আছে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
সাবেক সিইসি নুরুল হুদার নাম উল্লেখ না করে, ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক এক সিইসির গলায় জুতা মালা, একজন কারাগারে… এসবের দায় কার, সেটি বিশ্লেষণ করা দরকার। এই দায় কারও একার নয়।’