নাম তার আহসান আহমেদ ওরফে মাসুম। পুলিশের খাতায় তিনি চৌকষ গাড়ি চোর। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক এ শিক্ষার্থী সম্প্রতি টেস্ট ড্রাইভের নামে ৮৫ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ি ছিনতাই করেন অভিনব কৌশলে। প্রায় তিন সপ্তাহ পলাতক থাকার পর আটক হয়েছেন রাজধানীর গুলশান থেকে।
৩৬ বছর বয়সী মাসুমকে মঙ্গলবার ভোরে গুলশান থেকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ জব্দ করেছে পাঁচ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি পিস্তল। উদ্ধার হয়েছে টয়োটা হ্যারিয়ার মডেলের গাড়িটি।
মাসুমকে গ্রেপ্তারের পর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম গাড়ি ছিনতাই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। মাসুমকে ‘প্রযুক্তিদক্ষ ব্যক্তি’ উল্লেখ করে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ বলেন, পেশাদার অপরাধী মাসুমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় গাড়ি ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে। তার অতীত অপরাধ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনা সম্পর্কে ডিসি মাসুদ বলেন, পরীবাগ গার্ডেন টাওয়ারের গাড়ি বিক্রয়কেন্দ্র হুইল ডিলসের কর্ণধার মাশরুর নাঈর। তাকে গত ৭ মার্চ ফোন করে গাড়ি কিনতে চান এক ব্যক্তি। কথাবার্তার একপর্যায়ে নাঈর গাড়ি দেখাতে ওই ব্যক্তিকে তার বাসার গ্যারেজে আসতে বলেন। পরদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেই ব্যক্তিসহ দুজন নাঈরের বাসায় আসেন। তারা টেস্ট ড্রাইভের কথা বলে নাঈরের চাচাত ভাই পিয়াল মাহমুদকে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসেন।
তারা গাড়িটি চালিয়ে রাত সোয়া ৮টার দিকে শাহবাগ মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে আসে। সেখানে ওই দুই ব্যক্তির একজন মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পিয়াল মাহমুদকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এরপর ওই ব্যক্তিরা মাশরুর নাঈরের হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা দিয়ে মামলা না করার জন্য এবং সোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে পোস্ট না দিতে হুমকি দেন।
গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন মাশরুর নাঈর। এরই সূত্রে টানা তিন সপ্তাহের প্রচেষ্টায় মঙ্গলবার পুলিশ মাসুমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।