ঈদে ঢাকা ছাড়বে কোটি মানুষ

3 Min Read
ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য বাসের পাশাপাশি মানুষের পছন্দ ট্রেনের যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঢাকা ছাড়বে প্রায় কোটি মানুষ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করবে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শুধু যে ঢাকা থেকেই কর্মজীবী মানুষ গ্রামে যাচ্ছেন এমনটা নয়। বড় বিভাগীয় শহরেও অন্য জেলার কর্মজীবী রয়েছেন। আবার বিভিন্ন জেলা থেকে শেষ মুহূর্তে শিক্ষার্থীরাও নিজ গ্রামে ফিরবে। ঈদের বড় অংশের যাতায়াত হয় সড়ক পথে। আর সে কারণেই সড়কপথে ঈদযাত্রার চাপ থাকে বেশি। যদিও এবারের ঈদে সরকারি ছুটি ৯ দিন হওয়ার কারণে সড়কে একসঙ্গে চাপ তৈরি হওয়ার সম্ভবনা কম। তবুও যানজটের আশঙ্কা রয়েছে এমন জায়গাগুলো নজরদারীতে আনতে হাইওয়ে পুলিশ। এরই মধ্যে যাত্রী পরিবহনে বাস, ট্রেন ও লঞ্চের সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ হয়ছে।

বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে চলা বাসগুলো গত ১৪ মার্চ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। তাই শেষ মুহূর্তে এসে দূরপাল্লার বেশির ভাগ জায়গার টিকিট পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, প্রতিটি ঈদে চলাচলের জন্য আট হাজার বাস সড়কে থাকে। প্রতিটি বাস ৪০ জন যাত্রী নিয়ে গড়ে দিনে দুই ট্রিপ দিলেও ঈদের পাঁচ দিনে ৩২ লাখ যাত্রী পরিবহন করা যায়। এর সঙ্গে পরিস্থিতি বিবেচনায় যাত্রী পরিবহনে সিটির বাস যুক্ত হয়। আবার নিয়মিত চলাচল করে না, এমন বাসও শুধু ঈদের জন্য সড়কে নামানো হয়। সব মিলিয়ে ঈদে ৪০ লাখ যাত্রীকে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সারা বছরই যাত্রী সঙ্কটে ভুগছে লঞ্চ। তবে ঈদ এলে চিত্র কিছুটা বদলায়। এখন সদরঘাটে পুরনো সে হাকডাক নেই। লঞ্চের বেশিরভাগ কেবিন এখনও বুকিং হয়নি। বছরের অন্য সময় দিনে গড়ে ৪০টি লঞ্চ চলাচল করলেও ঈদকে কেন্দ্র করে দেড়শর বেশি লঞ্চ চালানোর প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর ২০/২২ লাখ মানুষ নৌপথে গন্তব্যে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে রাজধানীর কমলাপুর থেকে আন্তঃনগর, ঈদ বিশেষ, কমিউটার, মেইল ট্রেনসহ ৫০ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। ট্রেনের আসন অনুযায়ী প্রতিদিন ঢাকা থেকে প্রায় ৩১ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হবে। সঙ্গে রয়েছে ২৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট।

কমলাপুর স্টেশনের মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, সব ট্রেন মিলিয়ে প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যাত্রী পরিবহন করা হবে। শেষ দিকে স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। তবে বিনা টিকিটের যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকতে পারবে না।

স্বাভাবিক সময়ে সারাদেশে ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক লাখ মানুষ যাতায়াত করে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক বিবৃতিতে বলছে, ঈদে ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল মিলে ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ মানুষ গন্তব্যে পৌঁছবে। সেই হিসাবে পাঁচ দিনে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ ট্রেনে ঢাকা ছাড়বে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *