তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে পুনরায় শুনানি হবে ২১ অক্টোবর।
এদিকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ, যাতে এটি আর কখনো বিঘ্নিত না হয়।
বুধবার সকালে রিভিউ শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিয়ে সাময়িক সমাধান চায় না আপিল বিভাগ, বরং এটি নিয়ে একটি স্থায়ী কার্যকর সমাধান চায়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, সুশাসনের জন্য নাগরিকসহ (সুজন) কয়েকটি পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ আবেদন করে।
এর আগে, ২১ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুততম সময়ে রিভিউ শুনানির আবেদন করা হয়, যেখানে আইনজীবী শিশির মনির প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চে আবেদন করেন। এদিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
২০১১ সালের ১০ মে, আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেয়া হয়। এরপর, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
এ ছাড়া, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন।
১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়, যার বৈধতা নিয়ে ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে রিট করা হয়। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে, যার বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।