আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতেই দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা সদর উপজেলার বায়রাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছেন অর্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।
চলতি বছর শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই তুলে দিতে পারেনি সরকার। মার্চ পর্যন্তও নতুন বই পায়নি শিক্ষার্থীরা। অনেক বিদ্যালয়ে পুরো সেটের বদলে শুরুতে কয়েকটি বই দেওয়া হয়। ফলে ২০২৫ সালে পাঠদান নিয়ে বিপাকে পড়েন শিক্ষকরা। বই হাতে না পাওয়ায় বিভ্রান্তিতে ছিল শিক্ষার্থীরাও।
নতুন এই শিক্ষাবর্ষে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফেরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাঠ্যবইয়েও আসে পরিবর্তন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ অনেক বিষয় সংযোজন করা হয়, বাদ পড়েও অনেক কিছু। ফলে নতুন বই না পেয়ে পুরোনো বই দিয়েও কাজ চালাতে পারেনি শিক্ষার্থীরা।
সেসময় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনটিসিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ৪৪১টি পাঠ্যবই পরিমার্জন, ছাপার কাজ শুরু হতে দেরি হওয়া, আগের দরপত্র বাতিল করে নতুন দরপত্র দেওয়াসহ নানা কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এবার এরই মধ্যে দরপত্রের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানারেণ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা। তাই সব ঠিক থাকলে জানুয়ারির প্রথম ভাগেই নতুন বই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা।
একই দিন কেন্দুয়া উপজেলার সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ তিনটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
শিক্ষকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের পারফরম্যান্স খুব ভালো না হলেও মোটামুটি ভালো।’
হাওরাঞ্চলের স্কুলগুলোতে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘উপজেলা, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিভাবকদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলাপ-আলোচনা করতে বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে ম্যানেজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’
বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা নেত্রকোনা জেলা শহরের সাতপাই এলাকায় সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক যতীন সরকারের আদ্য শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।