সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির শুনানি দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ শুনানিতে বাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাগেরহাট থেকে আসা প্রতিনিধিরা। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় দিনের মতো সংসদীয় এলাকার সীমানা শুনানিতে তারা এ দাবি জানান।
শুনানি শেষে বাগেরহাট ৩ আসনের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাগেরহাটে চারটি আসন। হঠাৎ করে ইসি আমাদের বলেছেন চারটি আসন থাকবে না। একটি আসন বাদ দেয়া বাগেরহাটবাসী মানে না। এটা অযৌক্তিক, আইন পরিপন্থী এবং বাস্তবসম্মত নয়। ইসির এ সিদ্ধান্ত জনস্বার্থের পরিপন্থী। সুতরাং আমরা ইসিকে অনুরোধ করব তারা বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে সংসদীয় আসন নিয়ে যে খসড়া প্রস্তাবনা দিয়েছে তা প্রত্যাহার করবে। আমরা চাই বাগেরহাটের এক, দুই, তিন এবং চার আসন আগের মত বহাল থাকবে এবং জেলার সব জনগণ চারটি আসনেই তাদের আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবে।’
এ সময় একই আসনের প্রতিনিধি ব্যারিস্টার শেখ মো: জাকির হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন সেই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। তারা সেটা না দিয়ে বাগেরহাটের জনগণের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে দিয়েছে। এতে এ অঞ্চলের মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের কিছুটা লঙ্ঘন করেছেন। ওনারা এটা ঠিক করে দিলে আমরা তবেই বুঝবো, তারা সাংবিধানিক দায়িত্বের ব্যতয় ঘটান নি। আর্টিকেল সেভেন অব দ্য কনস্টিটিউশন এবং আর্টিকেল ২৭ অফ কনস্টিটিউশনে জনগণের যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতা তাদের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। জুলাই বিপ্লবের উদ্দীপনায় তারা কাজ করবেন। যাতে ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কোনভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য আমাদেরকে আন্দোলন সংগ্রাম বা আদালতের দিকে তারা ঠেলে দেবেন না।’
এদিকে বাগেরহাট ৩ আসনের জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমত উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা আমাদের বক্তব্য পেশ করতে পারিনি। এখনও আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারিনি। নির্বাচন কমিশন শুধু একটি দলের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটার হিসাবকে কেন্দ্র করে তারা (নির্বাচন কমিশন) যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা আমাদের যৌক্তিক বলে মনে হয় না।’