সাতক্ষীরায় সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে নদীর চর দখল করে গড়ে ওঠা একটি রিসোর্ট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
রোববার প্রশাসনের বিশেষ অভিযানে ‘এ অ্যান্ড এন ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস’ নামের রিসোর্টটি উচ্ছেদ করা হয়। শ্যামনগরে বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মৌখালী এলাকায় এটি গড়ে তোলা হয়েছিল।
উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আট মাসেরও বেশি সময় ধরে মালঞ্চ নদীর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয় এই স্থাপনা। সংশ্লিষ্টদের নিজ দায়িত্বে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও তারা তা সরিয়ে নেয়নি। সে কারণেই অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করতে হলো উপজেলা প্রশাসনকে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) সঞ্জয় রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফরিদুল ইসলাম, বন বিভাগের মুন্সিগঞ্জ টহল ফাঁড়ির ফরেস্টার ফাইয়াজুর রহমান ও নীলডুমুর টুরিস্ট পুলিশের এসআই সুজিত সরকার।
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সঞ্জয় রায় বলেন, ‘স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা সেটি মানেননি। ফলে অভিযান চালিয়ে স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নদীর জায়গায় এভাবে স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।’
রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ নিজেরা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য সাতদিন সময় নিয়েছিল জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেনি। তাই শ্রমিকদের নিয়ে রোববার সকাল থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত ট্রেইল, পল্টুন, জেটিসহ কিছু স্থাপনা ছাড়াও বাঁধের উপর নির্মিত অবৈধ কয়েকটি কক্ষ অপসারণ করা হয়।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত আট মাস ধরে মালঞ্চ নদীর তীরে এই রিসোর্ট তৈরি করছেন খুলনার মাহাবুব আলম নামে এক ব্যক্তি। শুধু তিনি নন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে নদ-নদীর চর দখল করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করছে কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ জানাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ এবং নদী ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।