বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তবর্তী মিয়ানমার অংশে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নাগরিক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত যুবক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এপারে থাকা তার স্বজনরা তাকে উখিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মেদাই এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আহত যুবকের নাম রকি আলম (২৬)।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাইশফাঁড়ী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার-৩৬ থেকে ২৫০ মিটার পূর্ব দিকে মিয়ানমারের ভেতরে আরাকান আর্মির দখলে থাকা হাতিরঝিরি পোস্ট এলাকায় ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক রকি আলম গুরুতর আহত হয়।
তাকে উদ্ধার করে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একটি সিএনজিতে করে এক আহত রোহিঙ্গাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখেছি।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা যুবকটি মিয়ানমারের ভেতরে মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। পরে, আহত যুবক সীমান্ত পেরিয়ে এপারে চলে এলে, তার অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।’
সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ভেতরে সহিংসতা ও মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়েছে। প্রায়ই এ ধরনের খবর পাওয়া যাচ্ছে।