স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এবং অন্য সময়ও যেন দেশে বাইরে থেকে কোনো অস্ত্র ঢুকতে না পারে সে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নির্বাচনের আগে অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকেও কিন্তু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার একটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিদিন অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। আমরা আশা করছি ইলেকশনের আগে প্রায় সব অস্ত্র উদ্ধার করে ফেলব।’
শনিবার রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিএডিসি বীজ ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র ঢোকার একটা প্রবণতা আগেও দেখা গিয়েছে, আগামী নির্বাচন ঘিরেও এ ধরনের প্রবণতা ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অস্ত্র উদ্ধারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুধু নির্বাচনে না, অন্য সময়ও যেন দেশে কোনো অস্ত্র ঢুকতে না পারে সে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া দরকার আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আল্লাহ দিলে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন করতে আমাদের কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। আমাদের চিফ অ্যাডভাইজার যে তারিখ বলে দিয়েছেন আমরা ওইভাবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং ওইসময় সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুতি থাকবে।’
নির্বাচন ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে নানান ধরনের প্রোপাগান্ডা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না, সামাজিক মাধ্যমে এরকম বক্তব্যও প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন–জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘দেশে এখন বাকস্বাধীনতা রয়েছে। আপনারা কিন্তু আগে অনেককিছু প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সবকিছু প্রকাশ করতে পারেন। এজন্য সবাই মতপ্রকাশ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। মানে জনগণ যে সময় নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। পলিটিক্যাল পার্টিগুলো যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। সে সময় দেখবেন এসব কিছুতে কেউ কোনো বাধা দিতে পারবে না। জনগণ আমাদের মেইন ফ্যাক্টর। যেহেতু সবাই নির্বাচনমুখী হয়েছে নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
সীমান্ত কতটা নিরাপদ-জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা দেখছেন আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ। সীমান্ত নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। আমাদের জনগণও কিন্তু সাংঘাতিক সচেতন। বর্ডার বেল্টে আমাদের যেসব জনগণ আছে তারা কিন্তু খুবই সচেতন।’