কক্সবাজারের চকরিয়া থানা হাজত থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের নাম দুর্জয় চৌধুরী (২৫)। তিনি চকরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী হিন্দুপাড়া এলাকার কমল চৌধুরীর ছেলে দুর্জয়।
শুক্রবার ভোরে চকরিয়া থানা হাজতের একটি কক্ষ থেকে দুর্জয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেব।
পরে সকাল ১০টার দিকে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চকরিয়া থানার একটি সূত্র জানিয়েছে, দুর্জয় চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম। এ সময় প্রধান শিক্ষকসহ আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষক অভিযুক্ত দুর্জয়কে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
পরে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেব তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।
রাত ১১টার দিকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার ভিত্তিতে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে দুর্জয়কে থানা হাজতে আটক রাখে পুলিশ। থানার সিসিটিভি ফুটেজে রাত ১টা ২৭ মিনিটেও তাকে হাজতের ভেতর হাঁটাহাঁটি করতে দেখা গেছে।
এরপর ভোররাত ৪টার দিকে দুর্জয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানিয়েছেন, থানা হাজতে ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।